অতিথি
মৃত্যু স্বপ্ন সংকল্প
Apr
07
আঁধারে হিমের
আকাশের তলে
এখন জ্যোতিষ্কে
কেউ নেই।
সে কারা কাদের
এসে বলেঃ
এখন গভীর পবিত্র
অন্ধকার;
হে আকাশ, হে কালশিল্পী, তুমি আর
সূর্য জাগিয়ো না;
মহাবিশ্বকারুকার্য, শক্তি, উৎস, সাধঃ
মহনীয় আগুনের কি
উচ্ছিত সোনা?
তবুও পৃথিবী
থেকে-
আমরা সৃষ্টির
থেকে নিভে যাই আজঃ
আমরা সূর্যের
আলো পেয়ে
তরঙ্গ কম্পনে
কালো নদী
আলো নদী হয়ে
যেতে চেয়ে
তবুও নগরে
যুদ্ধে বাজারে বন্দরে
জেনে গেছি কারা
ধন্য,
কারা স্বর্ণ
প্রাধান্যের সূত্রপাত করে।
তাহাদের
ইতিহাস-ধারা
ঢের আগে শুরু
হয়েছিলো;
এখনি সমাপ্ত হতে
পারে,
তবুও আলেয়াশিখা
আজো জ্বালাতেছে
পুরাতন আলোর
আঁধারে।
আমাদের জানা
ছিলো কিছু;
কিছু ধ্যান ছিলো;
আমাদের উৎস-চোখে
স্বপ্নছটা প্রতিভার মতো
হয়তো-বা এসে
পড়েছিলো;
আমাদের আশা সাধ
প্রেম ছিলো;- নক্ষত্রপথের
অন্তঃশূন্যে
অন্ধ হিম আছে জেনে নিরে
তবুও তো
ব্রহ্মান্ডের অপরূপ অগ্নিশিল্প জাগে;
আমাদেরো গেছিলো
জাগিয়ে
পৃথিবীতে;
আমরা জেগেছি-তবু
জাগাতে পারি নি;
আলো ছিলো- প্রদীপের বেষ্টনী নেই;
কাজ ছিল- শুরু হলো না তো;
হাহলে দিনের
সিঁড়ি কি প্রয়োজনের?
নিঃস্বত্ব
সূর্যকে নিয়ে কার তবে লাভ!
সচ্ছল শাণিত নদী, তীরে তার সারস-দম্পতি
ঐ জল
ক্লান্তিহীন উৎসানল অনুভব ক’রে ভালোবাসে;
তাদের চোখের রং
অনন্ত আকৃতি পায় নীলাভ আকাশে;
দিনের সূর্যের
বর্ণে রাতের নক্ষত্র মিশে যায়;
তবু তারা
প্রণয়কে সময়কে চিনেছে কি আজো?
প্রকৃতির
সৌন্দর্যকে কে এসে চেনায়!
মারা মানুষ ঢের
ক্ররতর অন্ধকূপ থেকে
অধিক আয়ত চোখে
তবু ঐ অমৃতের বিশ্বকে দেখেছি;
শান্ত হয়ে
স্তব্ধ হয়ে উদ্বেলিত হয়ে অনুভব ক’রে গেছি
প্রশান্তিই
প্রাণরণনের সত্য শেষ কথা, তাই
চোখ বুজে নীরবে
থেমেছি।
ফ্যাক্টরীর সিটি
এসে ডাকে যদি,
ব্রেন কামানের
শব্দ হয়,
লরিতে বোঝাই করা
হিংস্র মানবিকী
অথবা অহিংস
নিত্য মৃতদের ভিড়
উদ্দাম বৈভবে
যদি রাজপথ ভেঙে চ’লে যায়,
ওরা যদি
কালোবাজারের মোহে মাতে,
নারীমূল্যে অন্ন
বিক্রি ক’রে,
মানুষের দাম যদি
জল হয়, আহা,
বহমান ইতিহাস
মরুকণিকার
পিপাসা মেটাতে
ওরা যদি আমাদের
ডাক দিয়ে যায়-
ডাক দেবে, তবু তার আগে
আমরা ওদের হাতে
রক্ত ভুল মৃত্যু হয়ে হারায়ে গিয়েছি?
জানি ঢের কথা
কাজ স্পর্শ ছিলো, তবু
নগরীর ঘন্টা-রোল
যদি কেঁদে ওঠে,
বন্দরে কুয়াশা
বাঁশি বাজে,
আমরা মৃত্যুর
হিম ঘুম থেকে তবে
কী ক’রে আবার প্রাণকম্পনলোকের নীড়ে নভে
জ্বলন্ত
তিমিরগুলো আমাদের রেণুসূর্যশিখা
বুখে নিয়ে হে
উড্ডীন ভয়াবহ বিশ্বশিল্পলোক,
মরণে ঘুমোতে
বাধা পাব?-
নবীন নবীন
জঞ্জাতকের কল্লোলের ফেনশীর্ষে ভেসে
আর একবার এসে
এখানে দাঁড়াব।
যা হয়েছে- যা হতেছে- এখন যা শুভ্র সূর্য হবে
সে বিরাট অগ্নিশিল্প কবে এসে আমাদের ক্রোড়ে ক’রে
লবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ই বুক
পুরোনো পোস্ট
যে জন্য এই ব্লগ
মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়, তখন জীবনবাবু বড় জাপটে ধরে। মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু জীবনানন্দের জন্যই বেঁচে থাকাটা এত আনন্দের; শুধু জীবনানন্দের জন্য বাংলায় কথা বলা একটা দারুণ ব্যাপার।অন্তর্জালে উনার কবিতার বড় অভাব; সেটা কাটানোই আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। ইচ্ছে আছে জীবনানন্দের সব কবিতা এই ব্লগে জড়ো করব। আশা করা যায় এতে অন্তর্জালে জীবনানন্দ সংগ্রহের দৈন্য ঘুচবে। প্রতিটি কবিতা ঘিরে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি লিপিবদ্ধ করার ইচ্ছাও আছে।
এই ব্লগটা জীবনানন্দ দাশ কে উৎসর্গীকৃত। যদি ব্লগ সম্বন্ধে কারো কোন পরামর্শ থাকে তা নির্দ্বিধায় জানাতে আহবান জানাচ্ছি। rnabiul at gmail.com এই ঠিকানায়।।
এই ব্লগটা জীবনানন্দ দাশ কে উৎসর্গীকৃত। যদি ব্লগ সম্বন্ধে কারো কোন পরামর্শ থাকে তা নির্দ্বিধায় জানাতে আহবান জানাচ্ছি। rnabiul at gmail.com এই ঠিকানায়।।
- 'আকাশলীনা': কবিতাটির আলোচনা
- 'আমাকে তুমি' কে মনে রেখে
- 'আমার এ ছোট মেয়ে': চিত্রনাট্য
- 'একজন মায়াবতী' অথবা 'বনলতা সেন'
- 'এতদিন কোথায় ছিলেন' উপন্যাস নিয়ে
- 'ক্যাম্পে' কবিতাটি নিয়ে আলোচনা
- 'চৌত্রিশ বছর'ঃ উপন্যাস
- 'ফেসবুক' এ জীবনানন্দ দাশ নিয়ে একটি ফ্যানপেইজ
- 'বনলতা সেন' কাব্যগ্রন্থালোচনা
- 'বনলতা সেন' কে মনে রেখে
- অবসরের গানঃ কবিতার আলোচনা
- আনসার ডট কমে জীবনানন্দ দাশ
- আনসার ডট কমে বনলতা সেন
- ইংরেজিতে লেখা কবির একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনী
- একটি কবিতার পঠন
- একশত ভাগ জৈবনিক
- এডওয়ার্ড ডিমক এবং জীবনানন্দ দাশ
- ক্লিনটন বি সিলি'র জীবনবৃত্তান্ত
- জীবনানন্দের আধুনিকতা
- জৈবনিক জীবনানন্দ
- নয়টি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ
- পাঠানুভূতি
- বনলতা সেনের খোঁজে-০১
- বনলতা সেনের খোঁজে-০২
- বনলতা সেনের খোঁজে-০৩
- বনলতা সেনের খোঁজে-০৫
- বরিশাল এবং অন্যান্য
- বরিশালের সেই বাড়িটি
- বর্তমান প্রেক্ষাপটে জীবনানন্দ-আজফার হোসেন
- বাংলা উইকিপিডিয়ায় জীবনানন্দ
- ব্যাক্তি জীবনানন্দ
- মৃত্যু রহস্য-০২
- মৃত্যু রহস্য-০৩
- মৃত্যু রহস্য-০৪
- মৃত্যুরহস্য-০১
- মেরু সমুদ্রের মতো
- যাত্রা অভ্যন্তরে
- রৌদ্রের গন্ধ- ক্লিনটন বি সিলি
0 comments:
Post a Comment