অতিথি
সূর্যপ্রতিম
Nov
19
আমরণ কেবলি বিপন্ন হ’য়ে চ’লে
তারপর যে বিপদ আসে
জানি
হৃদয়ঙ্গম করার জিনিস;
এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।
বালুচরে নদীটির জল ঝরে
খেলে যায় সূর্যের ঝিলিক,
মাছরাঙা ঝিক্মিক্ ক’রে উড়ে যায়;
মৃত্যু আর করুণার দু’টো তলোয়ার আড়াআড়ি
গ’ড়ে ভেঙে নিতে চায়
এই সব সাঁকো ঘর বাড়ি;
নিজেদের নিশিত আকাশ ঘিরে থাকে।
এ-রকম হয়েছে অনেক দিন-রৌদ্রে বাতাসে,
যারা সব দেখেছিলো-
যারা ভালোবেসেছিলো এই সব- তারা
সময়ের সুবিধার নিলেমে বিকিয়ে গেছে আজ।
তারা নেই।
আসো আমরা যে যার কাছে- যে যার যুগের কাছে সব
সত্য হ’য়ে প্রতিভাত হ’য়ে উঠি।
নব পৃথিবী পেতে সময় চলেছে?
হে অবাচী, হে উদীচী,
কোথাও পাখির শব্দ শুনি;
কোথাও সূর্যের ভোর র’য়ে গেছে ব’লে মনে হয়!
মরণকে নয় শুধু-
মরণসিন্ধুর দিকে অগ্রসর হ’য়ে
যা-কিছু দেখার আছে
আমরাও দেখে গেছি;
ভুলে গেছি স্মরণে রেখেছি।
পৃথিবী বালি রক্ত কালিমার কাছে তারপর
আমরা খারিজ হ’য়ে দো’টানার
অন্ধকারে তবুও তো
চক্ষুস্থির রেখে
গণিকাকে দেখায়েছি ফাঁদ;
প্রেমিকাকে দেখায়েছি ফাঁকির কৌশল।
শেখাইনি?
শতাব্দী আবেশে অস্তে চ’লে যায়ঃ
বিপ্লবী কি স্বর্ণ জমায়।
আকণ্ঠ মরণে ডুবে চিরদিন
প্রেমিক কি উপভোগ ক’রে যায়
সিগ্ধ সার্থবাহদের ঋণ।
তবে এই অলক্ষিতে কোন্খানে জীবনের আশ্বাস রয়েছে।
আমরা অপেক্ষাতুর;
চাঁদের ওঠার আগে কালো সাগরের
মাইলের পরে আরো অন্ধকার ডাইনী মাইলের
পাড়ি দেওয়া পাখিদের মতো
নক্ষত্রের জ্যোৎস্নায় জোগান দিয়ে ভেসে
এ অনন্ত প্রতিপদে তবু
চাঁদ ভুলে উড়ে যাওয়া চাই,
উড়ে যেতে চাই।
পিছনের ঢেউগুলো প্রতারণা ক’রে ভেসে গেছে;
সামনের অভিভূত অন্তহীন সমুদ্রের মতন এসেছে;
লবণাক্ত পালকের ডানায় কাতর
ঝাপ্টার মতো ভেঙে বিশ্বাসহন্তার মতো কেউ
সমুদ্রের অন্ধকার পথে প’ড়ে আছে।
মৃত্যু আজীবন অগণনে হ্লো, তবু
এ-রকমই হবে।
‘কেবলি ব্যাক্তির- ব্যক্তির মৃত্যু শেষ ক’রে দিয়ে আজ
আমরাও ম’রে গেছি সব’-
দলিলে না ম’রে তবু এ-রকম মৃত্যু
অনুভব
ক’রে দিতে চেয়ে যতদূর
মানুষের প্রাণ
অতীতে ম্লানায়মান হ’য়ে গেছে সেই সীমা ঘিরে
জেগে ওঠে ঊনিশশো,
তেতাল্লিশ, চুয়াল্লিশ, অনন্তের
অফুরন্ত রৌদ্রের তিমিরে।
|
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ই বুক
পুরোনো পোস্ট
যে জন্য এই ব্লগ
মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়, তখন জীবনবাবু বড় জাপটে ধরে। মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু জীবনানন্দের জন্যই বেঁচে থাকাটা এত আনন্দের; শুধু জীবনানন্দের জন্য বাংলায় কথা বলা একটা দারুণ ব্যাপার।অন্তর্জালে উনার কবিতার বড় অভাব; সেটা কাটানোই আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। ইচ্ছে আছে জীবনানন্দের সব কবিতা এই ব্লগে জড়ো করব। আশা করা যায় এতে অন্তর্জালে জীবনানন্দ সংগ্রহের দৈন্য ঘুচবে। প্রতিটি কবিতা ঘিরে আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি লিপিবদ্ধ করার ইচ্ছাও আছে।
এই ব্লগটা জীবনানন্দ দাশ কে উৎসর্গীকৃত। যদি ব্লগ সম্বন্ধে কারো কোন পরামর্শ থাকে তা নির্দ্বিধায় জানাতে আহবান জানাচ্ছি। rnabiul at gmail.com এই ঠিকানায়।।
এই ব্লগটা জীবনানন্দ দাশ কে উৎসর্গীকৃত। যদি ব্লগ সম্বন্ধে কারো কোন পরামর্শ থাকে তা নির্দ্বিধায় জানাতে আহবান জানাচ্ছি। rnabiul at gmail.com এই ঠিকানায়।।
- 'আকাশলীনা': কবিতাটির আলোচনা
- 'আমাকে তুমি' কে মনে রেখে
- 'আমার এ ছোট মেয়ে': চিত্রনাট্য
- 'একজন মায়াবতী' অথবা 'বনলতা সেন'
- 'এতদিন কোথায় ছিলেন' উপন্যাস নিয়ে
- 'ক্যাম্পে' কবিতাটি নিয়ে আলোচনা
- 'চৌত্রিশ বছর'ঃ উপন্যাস
- 'ফেসবুক' এ জীবনানন্দ দাশ নিয়ে একটি ফ্যানপেইজ
- 'বনলতা সেন' কাব্যগ্রন্থালোচনা
- 'বনলতা সেন' কে মনে রেখে
- অবসরের গানঃ কবিতার আলোচনা
- আনসার ডট কমে জীবনানন্দ দাশ
- আনসার ডট কমে বনলতা সেন
- ইংরেজিতে লেখা কবির একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবনী
- একটি কবিতার পঠন
- একশত ভাগ জৈবনিক
- এডওয়ার্ড ডিমক এবং জীবনানন্দ দাশ
- ক্লিনটন বি সিলি'র জীবনবৃত্তান্ত
- জীবনানন্দের আধুনিকতা
- জৈবনিক জীবনানন্দ
- নয়টি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ
- পাঠানুভূতি
- বনলতা সেনের খোঁজে-০১
- বনলতা সেনের খোঁজে-০২
- বনলতা সেনের খোঁজে-০৩
- বনলতা সেনের খোঁজে-০৫
- বরিশাল এবং অন্যান্য
- বরিশালের সেই বাড়িটি
- বর্তমান প্রেক্ষাপটে জীবনানন্দ-আজফার হোসেন
- বাংলা উইকিপিডিয়ায় জীবনানন্দ
- ব্যাক্তি জীবনানন্দ
- মৃত্যু রহস্য-০২
- মৃত্যু রহস্য-০৩
- মৃত্যু রহস্য-০৪
- মৃত্যুরহস্য-০১
- মেরু সমুদ্রের মতো
- যাত্রা অভ্যন্তরে
- রৌদ্রের গন্ধ- ক্লিনটন বি সিলি
0 comments:
Post a Comment