অতিথি

অনেক নদীর জল

অনেক নদীর জল উবে গেছে-
ঘর বাড়ি সাঁকো ভেঙে গেল;
সে-সব সময় ভেদ ক’রে ফেলে আজ
কারা তবু কাছে চ’লে এলো।
যে-সূর্য অয়নে নেই কোনো দিন,
-মনে তাকে দেখা যেতো যদি-
যে-নারী দেখেনি কেউ- ছ’সাতটি তারার তিমিরে
হৃদয়ে এসেছে সেই নদী।
তুমি কথা বলো- আমি জীবন মৃত্যুর শব্দশুনিঃ
সকালে শিশিরকণা যে-রকম ঘাষে
অচিরে মরণশীল হয়ে তবু সূর্য আবার
মৃত্যু মুখে নিয়ে পরদিন ফিরে আসে।
জন্ম তারা ডাকে বার-বার পৃথিবীতে ফিরে এসে আমি
দেখেছি তোমার চোখে একই ছায়া পড়েঃ
সে কি প্রেম? অন্ধকার?- ঘাষ ঘুম মৃত্যু প্রকৃতির
অন্ধ চলাচলের ভিতরে।
স্থির হ’য়ে আছে মন; মনে হয় তবু
সে ধ্রুব গতির বেগে চলে,
মহা-মহা রজনীর ব্রহ্মান্ডকে ধরে
সৃষ্টির গভীর গভীর হংসী প্রেম
নেমেছে- এসেছে আজ রক্তের ভিতরে।

‘এখানে পৃথিবীর আর নেই-’
ব’লে তারা পৃথিবী জনকল্যাণেই
বিদায় নিয়েছে হিংসা ক্লান্তির পানে;
কল্যাণ কল্যাণ; এই রাত্রির গভীরতর মানে।
শান্তি এই আজ,
এইখানে স্মৃতি;
এখানে বিস্মৃতি তবু; প্রেম
ক্রমায়াত আঁধারে আলোকিত করার প্রমিতি।

0 comments:

ই বুক